দাঁতের রুট ক্যানেল করতে কত টাকা লাগে
দাঁতের রুট ক্যানেলের উপকারিতা
দাঁতের রুট ক্যানেল হলো একটি ডেন্টাল প্রক্রিয়া, যা ক্ষতিগ্রস্ত
বা সংক্রমিত দাঁতের অভ্যন্তরীণ অংশ (পাল্প) পরিষ্কার এবং সংরক্ষণের জন্য করা
হয়। এই প্রক্রিয়ায় দাঁতের ভেতরের সংক্রমিত টিস্যু অপসারণ করে স্থানটি
জীবাণুমুক্ত করা হয় এবং এরপর ফিলিং বা সিল করে দেওয়া হয়।
রুট ক্যানেল চিকিৎসা দাঁত সংরক্ষণের সহায়তা করে এবং ব্যথা বা সংক্রমণ দূর করে যা
দাঁত তোলার বিকল্প হতে পারে।
পেজ সূচিপত্র ঃ দাঁতের রুট ক্যানেলের কিভাবে করা হয় এবং রুট ক্যানেল করতে কত টাকা লাগে জেনে নিন
- দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয়
- দাঁতের রুট ক্যানেল করতে কত টাকা লাগে
- দাঁতের রুট ক্যানেলের উপকারিতা
- দাঁতের রুট ক্যানেলের ক্ষতিকর দিক।
- দাঁতের রুট ক্যানেল করার পর কতদিন থাকে
- দাঁতের রুট করেন করার সময় ব্যাথা
- দাঁতের রুট ক্যানেলের আগে করণীয়
- দাঁতের রুট ক্যানেলের পরে করনীয়
- দাঁতের রুট ক্যানেলের নিয়ম
- দাঁতের রুট ক্যানেল করতে কতদিন সময় লাগে
- উপসংহার ঃ লেখকের শেষ কথা
দাঁতের রুট ক্যানেল কিভাবে করা হয়
দাঁতের রুট ক্যানেল একটি ডেন্টাল চিকিৎসা পদ্ধতি যা দাঁতের অভ্যন্তরীণ
ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্রমিত পাল্প (মজ্জা) অপসারণের জন্য করা হয়। দাঁতের
অভ্যন্তরে থাকা এই পাল্পে নার্ভ এবং রক্তনালী থাকে, যা দাঁতকে সুস্থ
রাখে। যদি কোন কারণে এই পাল্প সংক্রমিত হয়, তখন ব্যথা এবং
ফুলে যাওয়া দেখা দিতে পারে। রুট ক্যানেল পদ্ধতিতে ক্ষতিগ্রস্ত পাল্প অপসারণ
করে দাঁতের ভেতরের অংশ পরিষ্কার এবং জীবাণু মুক্ত করা হয় এবং তা পূরণ করে সিল
করা হয়। এটি সাধারণত দাঁত সংরক্ষণের সর্বশেষ উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দাঁতের রুট ক্যানেল পদ্ধতি সাধারণত কয়েকটি ধাপে সম্পন্ন হয়।
প্রথমে, দাঁতের চারপাশের এলাকায় স্থানীয় এনেস্থিসিয়ার মাধ্যমে অবশ করা
হয়।। এরপর ডেন্টিস্ট ক্ষতিগ্রস্ত তাতে একটি ছোট্ট গর্ত করেন এবং সংক্রমিত
পাল্প বের করেন। দাঁতের ক্যানেলগুলিকে বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করে পরিষ্কার
করা হয় এবং জীবাণু মুক্ত করা হয়। পরে ক্যানেলগুলিতে বিশেষ ধরনের ফিলিং
উপাদান দিয়ে পূরণ করা হয় এবং দাঁতের উপর একটি কৃত্রিম ক্রাউন বসিয়ে চিকিৎসা
সম্পন্ন করা হয়।। পুরো পদ্ধতিটি দাঁতের কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়ক।
দাঁতের রুট ক্যানেল করতে কত টাকা লাগে
দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসার খরচ বিভিন্ন কারণে ভিন্ন হতে পারে। এর মধ্যে
প্রভাবশালী বিষয় হল কোন শহরে বা অঞ্চলে চিকিৎসা না হচ্ছে, চিকিৎসকের
অভিজ্ঞতা এবং দাঁতের অবস্থান (সামনের দাঁত, প্রিমোলার অথবা মোলার)। সাধারণত
সামনের দাঁতের রুট ক্যানেল খরচ তুলনামূলক কম, কারণ এগুলোতে চ্যানেল সংখ্যা
কম থাকে। মোলার দাঁতের ক্ষেত্রে খরচ বেশি হতে পারে কারণ এতে একাধিক ক্যানেল
থাকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে রুট ক্যানেল এর খরচ সাধারণত ৫০০০-২০০০০ টাকার
মধ্যে হয়ে থাকে। তবে উন্নত ক্লিনিক বা হাসপাতালে এই খরচ আরো বেশি হতে
পারে।
দাঁতের রুট ক্যানেল এর পর দাঁতের সুরক্ষার জন্য ক্রাউন (মুকুট) বসানো
প্রয়োজন হয়, যা মোট খরচকে আরো বাড়িয়ে তোলে। ক্রাউন সাধারণত ৩০০০-
১৫০০০ টাকার মধ্যে হতে পারে, ক্রাউনের উপাদান যেমন মেটাল, পোরসেলিন বা
জিরকোনিয়ার উপর ভিত্তি করে। কিছু ক্ষেত্রে এক্সরে এবং অন্যান্য সহায়ক
চিকিৎসার জন্য আলাদা খরচ যুক্ত হতে পারে। তাই রুট ক্যানেল এর মোট খরচ
চিকিৎসার ধরন এবং ব্যবহারিক উপকরণের উপর নির্ভরশীল। রবিকে চিকিৎসকের সাথে
আলোচনা করে সম্ভাব্য খরচ সম্পর্কে সঠিক ধারণা নেওয়া উচিত।
আরো পড়ুন ঃ এন্টিবায়োটিক খাওয়ার অপকারিতা
দাঁতের রুট ক্যানেলের উপকারিতা
দাঁত সংরক্ষণ এবং ব্যাথা থেকে মুক্তিঃ দাঁতের রুট ক্যানেল পদ্ধতির অন্যতম
প্রধান উপকারিতা হলো এটি সংক্রমিত বা ক্ষতিগ্রস্ত দাঁত সংরক্ষণ
করে। সংক্রমিত দাঁতের মজ্জা যদি চিকিৎসা না করা হয়, তবে তা দাঁতের
শিকড়ে ছড়িয়ে গিয়ে ব্যথা এবং ফুলে যাওয়ার কারণ হতে পারে। রোড ক্যানেল
পদ্ধতির মাধ্যমে এই সংক্রমণ দূর করে তাদের কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করা হয়। এটি
রবিতে তীব্র ব্যথা থেকে মুক্তি দেয় এবং স্বাভাবিকভাবে জীবাণুর ক্ষমতা বজায়
রাখে।
প্রাকৃতিক দাঁতের সৌন্দর্য বজায় রাখাঃ দাঁতের রুট ক্যানেলের আরেকটি বড়
উপকারিতা হলো এটি প্রাকৃতিক দাঁতের সৌন্দর্য বজায় রাখে। দাঁত তোলার
পরিবর্তে রুট ক্যানেল করে দাঁত সংরক্ষণ করলে মুখের গঠন ও চেহারার সামঞ্জস্য ঠিক
থাকে। প্রাকৃতিক দাঁত বজায় থাকলে কৃত্রিম দাঁতের প্রয়োজন হয় না, যা
সময় ও খরচ সাশ্রয়ী। পাশাপাশি, রুট ক্যানেল করার দাঁত সঠিকভাবে যত্ন
নেওয়া হলে অনেক বছর ধরে কার্য করে থাকে, যা রোগীকে দীর্ঘমেয়াদি সুবিধা
দেয়।
দাঁতের রুট ক্যানেলের ক্ষতিকর দিক।
সংক্রমনের ঝুঁকি এবং জটিলতা ঃ দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসার
সময় বা পরে কিছু ক্ষতিকর দিক হতে পারে। পদ্ধতি সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে
দাঁতের ভেতরে জীবাণু থেকে যেতে পারে, যা পুনরায় সংক্রমণের কারণ হতে
পারে। এছাড়া দাঁতের ক্যানেলের সব শাখা যদি পরিষ্কার করা সম্ভব না
হয়, তবে সংক্রমণ দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। কখনো
কখনো রুট ক্যানেলের পর দাঁত দুর্বল হয়ে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। এসব ক্ষেত্রে
অতিরিক্ত চিকিৎসা বা দাঁত তোলার প্রয়োজন হতে পারে।
প্রাকৃতিক সংবেদনশীলতা হারানো এবং ব্যথা ঃ দাঁতের রুট
ক্যানেল এর ফলে তাদের ভেতরের নার্ভ অপসারণ করা হয়, যা দাঁতকে সংবেদনশীলতা
হারাতে বাধ্য করে। এটি দাঁত কে নির্জীব করে তোলে এবং প্রাকৃতিক অনুভূতির
অভাব দেখা দিতে পারে। পদ্ধতির পরে কয়েকদিন বা সপ্তাহ ধরে হালকা ব্যথা বা
অস্বস্তি অনুভব হতে পারে। কোন ক্ষেত্রে ভুল ভাবে ক্রাউন বসানোর কারণে
দাঁতের চাপে সমস্যা হতে পারে। এই সমস্যা গুলো দীর্ঘস্থায়ী হলে
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরী।
দাঁতের রুট ক্যানেল করার পর কতদিন থাকে
রুট ক্যানেল করা দাঁতের স্থায়িত্বঃ দাঁতের রুট ক্যানেল করা দাঁত
সাধারণত সঠিক যত্ন এবং সুরক্ষার মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। রোড
ক্যানেল এর পরে দাঁতের মর্যাদা অপসারণ করা হলেও এটি কার্যকর থাকে কারণ দাম মূলত
তার চারপাশের টিস্যু থেকে পুষ্টি পায়। যদি রুট ক্যানেল এর পরে একটি
ভালো মানের ক্রাউন বসানো হয় এবং দাঁতের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নিয়মিত
পরিচর্যা করা হয়, তবে এটি ১০-১৫ বছর বা তার চেয়েও বেশি সময়
স্থায়ী হতে পারে। সঠিক ডেন্টাল পরিচর্যা, যেমন নিয়মিত ব্রাশ
করা, ফ্লস করা এবং দাঁতের চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা, দাঁতের
স্থায়িত্ব বাড়াতে সাহায্য করে।।
রুট ক্যানেল এর দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতাঃ তবে, রুট ক্যানেলের
স্থায়িত্ব কিছু বিষয়ের উপর নির্ভর করে, যেমন দাঁতের
অবস্থান, চর্বনের চাপ এবং চিকিৎসার গুণমান। মোলার
দাঁত, যা চর্বনের জন্য বেশি ব্যবহৃত হয়, সেগুলির স্থায়িত্ব তুলনামূলকভাবে কম
হতে পারে। যদি রুট ক্যানেল এর পর যথাযথ ক্রাউন বা ফিলিং ব্যবহার না করা
হয়, তাহলে দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। এর বাইরে, সময়ের
সঙ্গে সঙ্গে ক্রাউন বা ফিলিং ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা বদলাতে হতে পারে। তাই রুট
ক্যানেল এর পর দাঁতের স্থির দীর্ঘস্থায়ীত্ব রোগীর যত্ন এবং চিকিৎসার মানের উপর
নির্ভর করে।
দাঁতের রুট ক্যানেল করার সময় ব্যাথা
রুট ক্যানেলের সময় ব্যথার অনুভূতিঃ দাঁতের রুট ক্যানেল করার সময়
ব্যথার মাত্রা সাধারণত খুব কম থাকে, কারণ চিকিৎসার আগে
স্থানীয় এনেস্থিসিয়া প্রয়োগ করা হয়। এটি দাঁতের এবং আশপাশের
অংশ অবশ করে দেয়, তাহলে রোগী কোন তীব্র ব্যথা অনুভব করেন
না। তবে, চিকিৎসার সময় কিছু রোগীর চাপ, টান বা মৃদু অস্বস্তি
অনুভব করতে পারেন। আধুনিক ডেন্টাল প্রযুক্তি এবং দক্ষ ডেন্টিস্টদের
ব্যবহার রোগীদের জন্য এই অভিজ্ঞতাকে আরো আরামদায়ক করে তুলেছে। অনেক
ক্ষেত্রে রোগীরা বলেন, এদের দাঁত তোলার চেয়ে অনেক কম কষ্ট করে পদ্ধতি।
চিকিৎসার পরে অস্বস্তি ও ব্যবস্থাপনা ঃ দাঁতের রোড ক্যানেল
এর পরে কিছু রোগীর ক্ষেত্রে হালকা ব্যথা বা অস্বস্তি হতে পারে। জাদাতের
চারপাশের টিস্যুর সামান্য প্রদাহের কারণে হয়। এই ব্যথা সাধারণত কয়েকদিন
স্থায়ী হয় এবং ওষুধের মাধ্যমে সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ব্যথা যদি বেশি হয়
বা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায়, তবে ডেন্টিস্টের শরণাপন্ন হওয়া
জরুরি। সংক্ষেপে, সঠিক চিকিৎসা এবং যত্নের মাধ্যমে রুট ক্যানেলের
সময় ও পরে ব্যথা সাধারণত খুবই নিয়ন্ত্রণ যোগ্য থাকে।
দাঁতের রুট ক্যানেলের আগে করণীয়
ডেন্টিস্ট এর সঙ্গে পরামর্শ ও পরীক্ষাঃ দাঁতের রুট ক্যানেল করার আগে
প্রথম করণীয় হলো ডেন্টিস্ট এর সঙ্গে পরামর্শ করা এবং প্রয়োজনীয়
পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন করা। দাঁতের সমস্যার সঠিক কারণ নির্ণয় করার
জন্য এক্স-রে করা হয়। যা দাঁতের ভেতরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ এবং সংক্রমনের পরিমাণ
বুঝতে সাহায্য করে। সাধারণত রোগীর মেডিকাল ইতিহাস ও ওষুধ গ্রহণের বর্তমান
অবস্থা সম্পর্কে তথ্য নেন। কোন রকম এলার্জি বা শারীরিক সমস্যা থাকলে তার
ডেন্টিস্ট কে জানানো গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি চিকিৎসার পদ্ধতিতে প্রভাব
ফেলতে পারে।
পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং মানসিক প্রস্তুতি ঃ রুট ক্যানেল এর
আগে দাঁতের সঠিক যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। প্রতিদিন নিয়মিত দাঁত ব্রাশ
করা এবং ফ্লস ব্যবহার করে মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা উচিত। চিকিৎসার দিন
মুখ পরিষ্কার রাখা এবং কোনো ধরনের স্নাকস বা খাবার খাওয়ার আগে
ডেন্টিস্ট এর নির্দেশ মেনে চলা উচিত। পাশাপাশি, মানসিকভাবে প্রস্তুত
থাকা প্রয়োজন কারণ রুট ক্যানেল একটি সময় সাপেক্ষ পদ্ধতি। আধুনিক চিকিৎসা
পদ্ধতির কারণে এটি প্রায়ই ব্যথা মুক্ত, যার রোগীকে উদ্বেগ মুক্ত থাকতে
সাহায্য করে।
দাঁতের রুট ক্যানেলের পরে করনীয়
ব্যথাও অস্বস্তি নিয়ন্ত্রণ ঃ দাঁতের রুট ক্যানেল এর পরে
অল্প সময়ের জন্য দাঁতে ব্যথা বা সংবেদনশীলতা অনুভূত হতে পারে, যা
স্বাভাবিক। চিকিৎসক সাধারণত ব্যথা নিয়ন্ত্রণের জন্য পেইন কিলার বা
অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ঔষধ দেন। দাঁতের চারপাশে ফুলে যাওয়া বা অস্বস্তি
থাকলে বরফের পেট ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথম কয়েক দিন শক্ত খাবার
জীবাণু থেকে বিরত থাকা উচিত, কারণ এটি নতুন ফিলিং বা ক্রাউনকে ক্ষতিগ্রস্ত
করতে পারে। যদি ব্যথা বা অস্বস্তি কয়েক দিনের মধ্যে না কমে, তাহলে
দ্রুত ডেন্টিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
দাঁতের সুরক্ষা ও পরিচর্যা ঃ রোড ক্যানেলের পরে দাঁত রক্ষার
জন্য চিকিৎসা প্রায়ই একটি ক্রাউন বসানোর পরামর্শ দেন। এতে দাঁতকে
ভেঙে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং কার্যকারিতা পুনরুদ্ধার করে। চিকিৎসার পর
নিয়মিত ব্রাশ এবং ফ্সল এর মাধ্যমে তাদের পরিছন্নতা বজায় রাখতে হবে। খুব
বেশি চিনি বা অ্যাসিডিক খাবার এড়ানো উচিত, কারণ এগুলো দাঁতের ক্ষতি করতে
পারে। পাশাপাশি, প্রতি ছয় মাসের ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁতের
অবস্থা পরীক্ষা করানো গুরুত্বপূর্ণ, যাতে দীর্ঘ মেয়াদে রুট ক্যানেলের
কার্যকারিতা বজায় থাকে।
দাঁতের রুট ক্যানেলের নিয়ম
চিকিৎসকের নির্দেশনা মেনে চলা ঃ রুট ক্যানেল চিকিৎসার
সময় এবং পরে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা খুবই
গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে, রোড ক্যানেল পদ্ধতির সম্পন্ন করার সময়
স্থানীয় অ্যানেস্থিসিয়া ব্যবহার করা হয়, যার কারণে রোগীকে ব্যথা
অনুভূত হয় না। এরপর, চিকিৎসক অবশ্যই রোগীকে চিকিৎসার পরে দাঁত
সুরক্ষিত রাখতে এবং কোন ধরনের সমস্যা এড়াতে নির্দেশনা দিবেন। চিকিৎসার পর
দাঁত বা ক্রাউন সঠিকভাবে বসানো এবং মেনে চলা উচিত, যাতে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত
না হয়। রোগীকে কোন ধরনের অতিরিক্ত চাপ, যেমন কঠিন বা শক্ত খাবার
চিবানো, পরিহার করতে বলা হয়।
তাদের যত্ন ও নিয়মিত পরীক্ষা ঃ দাঁতের রুট ক্যানেল করা দাঁত
কে সুস্থ রাখতে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ এবং ফ্লস ব্যবহার করা উচিত। প্রথম
কয়েকদিন চিকিৎসার পর দাঁতের প্রতি সাবধানতা অবলম্বন করতে বলা হয়, যেমন
তাপমাত্রা বা খাদ্যের প্রতি সংবেদনশীলতা থাকতে পারে। ক্রাউন বসানোর
পর, দাঁত যাতে ভেঙে না যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তার জন্য
প্রতিদিনের খাওয়ার সময় সঠিক যত্ন নেওয়া উচিত। পাশাপাশি, রুট
ক্যানেলের পরে প্রতি ৩-৬ মাস পর ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁতের পরীক্ষা
করানো উচিত যাতে দাপ্তির ঘুমিয়ে যেভাবে সুস্থ থাকে।
দাঁতের রুট ক্যানেল করতে কতদিন সময় লাগে
রুট ক্যানেল প্রক্রিয়া এবং সময়কাল ঃ দাঁতের রুট ক্যানেল
সাধারণত একদিনের প্রক্রিয়া নয়, বরং এটি দুই বা তিন সেশন হতে
পারে। প্রথম সেশনে, ডেন্টিস্ট দাঁতের মজ্জা (পাল্প) অপসারণ করে এবং
দাঁতের ভেতরের অংশ পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করেন। এ সময় চিকিৎসক এক্সরে
করতে পারেন এবং যদিও প্রয়োজন হয়, তৎকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
১-২ ঘন্টা সময় নিতে পারে। এরপর দাঁত ফিলিং বা অস্থায়ী ফিলিং দিয়ে
সিল করা হয়, যাতে সংরক্ষণ থেকে রক্ষা পায়।
দ্বিতীয় সেশন এবং ক্রাউন বসানো ঃ রোড ক্যানেল সম্পন্ন হওয়ার
পর, কিছু রোগীকে এক বা দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে। এতে দাঁতের ফিলিং
স্থায়ী করা এবং ক্রাউন বসানোর জন্য সময় দেয়। দ্বিতীয়
সেশনে, ডেন্টিস্ট স্থায়ী ফিলিং বসান এবং শেষে ক্রাউন বসাতে
পারেন। ক্রাউন বসানোর সময় ১-১.৫ ঘন্টা পর্যন্ত সময় লাগতে
পারে, এবং পুরো প্রক্রিয়ার সম্পূর্ণ হতে পাঁচ সাতদিন বা এক সপ্তাহ সময়
লাগতে পারে। যেহেতু ক্রাউন্টি প্রস্তুত হতে সময় নেয়। তবে, সঠিক সময়
কাল রোগীর দাঁতের অবস্থা এবং ক্লিনিক এর কাজের ধরনের উপর নির্ভর করে।
উপসংহার ঃ লেখকের শেষ কথা
দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসার খরচ বিভিন্ন কারণে পরিবর্তিত হতে
পারে, যেমন, চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা, চিকিৎসা কেন্দ্রের
অবস্থান, দাঁতের অবস্থান (সামনের দাঁত বা মোলার) এবং প্রয়োজনীয়
অন্যান্য উপকরণের ব্যবহার। সাধারণত, রোড ক্যানেল পদ্ধতির খরচ
৫০০০-২০,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে, তবে উন্নত ক্লিনিক বা হাসপাতালে
এটি কিছুটা বেশি হতে পারে।
এছাড়া, চিকিৎসার পরে ক্রাউন বসানোর খরচও এই মোট খরচে যুক্ত
হবে। সঠিক খরচ জানার জন্য রোগীকে দেখে চোখের সাথে পরামর্শ করে বিস্তারিত
ধারণা নেয়া উচিত। রুট ক্যানেলচিকিৎসা একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং কার্য করে
সমাধান হতে পারে। যা প্রাকৃতিক দাঁত সংরক্ষণে সহায়ক, তাই এটি একটি
বিনিয়োগ হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
কিনলে আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url