ফ্রিল্যান্সিং শব্দটি এখন প্রতিটি মানুষের কাছে খুবই পরিচিত। বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট, মোবাইল অথবা সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে নূন্যতম ধারনা রাখে তাদের কাছে এই ফ্রিল্যান্সিং শব্দ খুবই পরিচিত।

 

বর্তমানে আলোড়ন সৃষ্টিকারী সেক্টর হলো ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর। এই সেক্টরে প্রতিটি মুহুর্তেই সব শ্রেণির মানুষের কাজের আগ্রহ বাড়ছে। এই সেক্টরটি এতটাই আলোচিত যে মানুষ আর কোন চিন্তা না করে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নিচ্ছে। ফ্রিল্যান্সিং একটি অনেক বড় সেক্টর। এখানে অনেক বিষয় নিয়ে কাজ করা যায়। প্রাথমিকভাবে অনেক মানুষ এই সেক্টরের কাজের গুরুত্ব বা কাজের পরিধি না জেনে শুরু করছে। এই সেক্টরে কাজ করতে আসা প্রতিটি মানুষের আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমি ফ্রিল্যান্সিং এর কোন বিষয় বা সেক্টর নিয়ে কাজ করবো। তবে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত সেক্টর হলো ডিজিটাল মার্কেটিং ও গ্রাফিক্স ডিজাইন। এর বাইরেও অনেক জনপ্রিয় সেক্টর আছে যা নিয়ে কাজ  করা যেতে পারে। 

ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে এমন একটি বিষয় বুঝায় যা ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে কাস্টমারের কাছে প্রতিটি প্রোডাক্ট বা পণ্য সম্পর্কে জানানোর সবচয়ে বড় মাধ্যম। ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ মুলতঃ প্রোডাক্ট বা পণ্য একটি নির্দিষ্ট সময় বা সঠিক সময়ে কাস্টমারের কাছে পৗঁছে দেওয়া বা জানান দেওয়া। ডিজিটাল প্ল্যাট ফরম ব্যবহার করে সাধারণ মানষের কাছে পৌঁছাতে অনেক সহজ হয়েছে। 

মানুষ প্রতিটি ক্ষেত্রে বর্তমানে ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন বা এক কথায় বলা যেতে পারে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে অনেক সুবিধা ভোগ করতেছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল প্ল্যাট ফরম ব্যবহার করে। এই রকম অনেক বহুবিধ কারন আছে ডিজিটাল মার্কেটিং ডিম্যান্ডেবল হওয়ার। আর এই সমস্ত কারন গুলোর জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং একটি ডিম্যান্ডেবল সেক্টরে পরিনত হয়েছে। ডিজিটাল মার্কেটিং এর ধরন গুলো নিম্নরূপ ঃ

চিত্রের মাধ্যমে নকশা তৈরি করার প্রক্রিয়াকে গ্রাফিক্স ডিজাইন বলা হয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইন ছাড়া মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট সম্পূর্ণ অচল। একটি কোম্পানীর ডিজিটাল মার্কেটিং বিভাগ সচল করার জন্য যা যা করা দরকার তার অধিকাংশই কাজ করে থাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনরা। যেহেতু একটি কোম্পানীর মার্কেটিং সেক্টরটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তাই এর প্রচার ও প্রসারের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং মাধ্যম বেছে নিতে হয়। আর ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার প্রসারের জন্য অনেক কিছু করা লাগে যা তৈরি করে থাকে গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা। যেমন ঃ ব্যানার, পোস্টার, বিলবোর্ড, লোগো, সোশ্যাল মিডিয়ার কাভার ফটো, টেলিভিশনের কমার্শিয়াল বিভাগ ইত্যাদি সকল কিছুই তৈরি করে থাকেন গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা। তাই এতে করে বুঝা যায় গ্রাফিক্স ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং ডিম্যান্ডেবল সেক্টর।

ফ্রিল্যান্সিং এর আরও একটি সেক্টর হলো ওয়েব ডেভেলপমেন্ট। ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলতে যা বুঝি তা হলোঃ একটি ওয়েবসাইড তৈরি করা থেকে শুরু করে ইন্টারনেটে লাইভ বা সরাসরি উম্মুক্ত করা পর্যন্ত যে সকল কাজ বা যে ধরনের কাজ করা হয় তাকে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট বলে।

ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এ কাজের চাহিদা প্রচুর। এটি বিভিন্ন প্রোগ্রামিং ভাষা বা ল্যাগুয়েজ েব্যবহার করা হয়। যেমন ঃ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ক্ষেত্রে ফন্টে-এন্ডে HTML, CSS, C++, JavaScript এবং PHP, ব্যাকে- এন্ডে Node.js এর মতো সার্ভার সাইড প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। সুতরাং এই মাধ্যমটি খুবই জনপ্রিয়। যা বর্তমানে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। গ্রাম থেকে শহর প্রতিটি এলাকার সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়  মানুষ গুলো এখন ওয়েব ওডভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে। 

ফ্রিল্যান্সিং জগতের আর একটি পার্ট হলো  আর্টিকেল রাইটিং। আমরা জানি তথ্যপ্রযুক্তির যুগে আর্টিকেল রাইটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ডিজিটাল মার্কেটিং এর যুগে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং এর গুরুত্ব অনেক বেশি। এটি ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং এক বারেই অচল। তাই তথ্য উপাত্ত বিস্তারিত আলোচনা করার মাধ্যমে যে কোন বিষয়কে পাঠকের কাছে সঠিকভাবে উপস্থাপন করাই হচ্ছে আর্টিকেল রাইটারের কাজ। 

সাধারণত যে কোন সমস্যার সমাধান করতে বা প্রয়োজনীয় তথ্য উপস্থাপন করতে আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং ব্যবহৃত হয়। পাঠক যেকোনো বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য যখন গুগলের সহায়তা নেন তখন এই তথ্যগুলো পাঠকের কাছে গুগল উপস্থাপন করে থাকে। তাই এক কথায় বলতে পারি এই আর্টিকেল রাইটিং বা কনটেন্ট রাইটিং বর্তমানে এটিও অনেক ডিম্যান্ডেবল।

আধুনিক বিশ্বে বর্তমান সময়ে কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী, বয়ঃবৃদ্ধ সহ সকল বয়সের সকল পেশার মানুষ বা নাগরিক তাদের নিজ নিজ কাজের জন্য মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থ ফোন ব্যবহার কেরে